তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তৃতীয় দিনের আপিল শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৭ সদস্যের বেঞ্চ পরবর্তী শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেন।

এর আগে বুধবার (২২ অক্টোবর) তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল ও ১৪তম জাতীয় নির্বাচন থেকে তা কার্যকর চেয়ে আপিল বিভাগে শুনানি শেষ করেন বদিউল আলম মজুমদারের আইনজীবী।

আইনজীবী শিশির মনির বলেন, যে প্রক্রিয়ায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দেওয়া হয়েছিল, তা ছিল পরিকল্পিত। আর শেখ হাসিনা এই ব্যবস্থা বিলুপ্তির মাধ্যমে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছিল।

এই আইনজীবী আরও বলেন, নির্বাচন ব্যাবস্থাকে সঠিক নিয়মে দাঁড় করাতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই।

জুলাই সনদের ভিত্তিতে যেন আদালত রায় হয়, সেই প্রত্যাশা করেন শিশির মনির। তিনি জানান, এই আপিলের পক্ষে ১৪ জন বিচারকের মধ্যে ১০ জনই তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে মত দিয়েছেন।

গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদন মঞ্জুর করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। দেওয়া হয় আপিলের অনুমতি। এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ ৫ জন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।

২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন তৎকালীন আপিল বিভাগ। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে নতুন করে আইনি লড়াই শুরু হয়। ২১ অক্টোবর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের শুনানি শুরু হয়।